শিক্ষার্থীদের দিয়ে শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার: প্রতিবাদ করায় শিক্ষার্থীর পিতাকে হেনস্থা
সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের সালথায় শিক্ষার্থীদেরকে দিয়ে বিদ্যালয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় তলা ঝাড়ু দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ফুলবাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোপাল দাস ও দপ্তরী অমল সরকার এর বিরুদ্ধে। গত (৩০ মার্চ) সকাল সাড়ে আটটার দিকে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া গ্রামের শ্রী মধু শীল এর ছেলে অটল কুমার শীল নামক এক ব্যবসায়ী একই দিনে উক্ত বিষয়ে সালথা উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
যেখানে তিনি তার ছেলে ও মেয়ে দিয়ে স্কুলের দ্বিতীয় তলা থেকে নিচতলা পর্যন্ত ঝাড়ু দেওয়ার কথা বলেন। বিষয়টি জানার পর স্কুলে গেলে এবং তার সন্তানদেরকে স্কুল শুরুর পূর্বে কাজ করানোর কথা জিজ্ঞাসা করিলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও দপ্তরী তাহার উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং তাকে গালিগালাজ সহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন।
অটল কুমার শীল সাংবাদিকদের দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, ফুলবাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আমার ছেলে চতুর্থ ও মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। আগে উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট আমার ছেলে মেয়েকে প্রাইভেট পড়াতাম। পরবর্তীতে তার কাছে না পড়ানোর কারনে সে আমার ছেলে মেয়ের উপর ক্ষীপ্ত। এরই জের ধরে সুযোগ বুঝে আমার সন্তানদের দিয়ে অনিয়মতান্ত্রীক ভাবে কাজ করিয়েছে। উক্ত বিষয়টি আমি প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে উক্ত প্রধান শিক্ষক বলেন, তুমি নাপিত মানুষ, তুমি চুল কাটো এই শিক্ষার কি বুঝবা? এসময় বেত নিয়ে দাড়িয়ে থাকা দপ্তরি ক্ষীপ্ত হয়ে বলেন, তুই স্কুল বাউন্ডারী থেকে বের হ। তুই নাপিত মানুষ, তুই কাটবি চুল,তুই স্কুলে আইছিস ক্যা?
এ বিষয়ে উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোপাল দাস বলেন, দপ্তরী কাজ করিয়েছে।
শিক্ষার্থীর অভিভাবক আমার কাছে শুনলে আমি বলি শিক্ষার্থীদেরকে কাজ করাইতেই পারে এটা কোনো ব্যাপার না।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আতিকুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।