বোয়ালমারিতে ঘর থেকে গৃহবধুর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার
সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের বোয়ালমারিতে এক গৃহবধুর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত গৃহবধুর নাম রিক্তা আক্তার (২৫) সে উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের কেরসাইল গ্রামের জালাল মিরের ছেলে জুয়েলের স্ত্রী এবং পার্শবর্তী সালথা উপজেলার নকুলহাটি এলাকার হানিফ মাতুব্বরের মেয়ে। নিহত রিক্তা ডোবরা জনতা জুট মিলে কাজ করতো। বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে রিক্তার স্বামীর বাড়ি কেরসাইল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ফরিদপুর মর্গে প্রেরণ করে জয়নগর ফাড়ি পুলিশ। নিহত রিক্তার ৪/৫ বছর বয়সের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
এলাকাবাসি ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মৃত রিক্তা আক্তার বুধবার বিকেল শিফটের ডিউটি শেষ করে রাত সাড়ে দশটায় বাড়ি ফেরে। তারপরে সে তার শয়ন কক্ষে চলে যায়। সকালে তার দেবর সোহেলের স্ত্রী মাজেদা বেগম মৃতের ঘরে ফ্রীজ থেকে মাছ আনতে গিয়ে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ধাক্কা দিয়ে ঘরে ঢুকে রিক্তাকে তার বিছানায় ঘুমানোর মত পড়ে থাকতে দেখেন। পরে ওই দেবরের স্ত্রী চিৎকার দিলে তাদের শাশুড়ি রেবা খাতুন ঘরে ঢুকে দেখেন রিক্তার নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে এবং সে মৃত।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইসমাইল মোল্যা জানান, ওই নারী শ্রমিকের ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে ওই নারীর সোয়ার ঘরের বারান্দার কলাপশিকবল গেট ও ঘরের দরজা ভেড়ানো ছিল। ভিতর বা বাহির থেকে লাগানো ছিলনা। তাঁর নিকট (মেম্বার) এ মৃত্যু রহস্যজনক মনে হচ্ছে।
রিক্তার বাবা হানিফ মাতুব্বর অভিযোগ করে বলেন, রিক্তার স্বামী জুয়েল অন্যত্র একটি বিয়ে করেছে। যৌতুক ও পরকিয়ার কারনে জুয়েল ও পরিবারের সদস্যরা মিলে আমার মেয়ে রিক্তাকে হত্যা করেছে। আমি হত্যাকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে বিচারের দাবি জানাই। এই বিষয়ে অভিযুক্ত জুয়েলের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জয়নগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সুব্রত বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নারী শ্রমিক ঐ গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার বিকেলেই ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিক সুরতহালে মৃতের নাক দিয়ে রক্ত পড়তে দেখা গেছে এবং গলার বাম দিকে সামান্য লাল কালচে দাগ দেখা গেছে।
বোয়ালমারি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, রহস্যজনক একটি মৃত্যু। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া কিছু বলা যাচ্ছেনা। কারণ নিহতের বিছানাপত্র সব ঠিক ছিল। কোথাও এলোমেলো কিছু পাওয়া যায়নি। আবার ঘরের দরজা ভিতর থেকে লাগানো ছিলনা। পুলিশ গভীরভাবে বিষয়টি তদন্ত করছে এবং এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।