আলফাডাঙ্গায় হাপরের ফোঁসফাঁস ও হাতুড়িপেটার শব্দে মুখর কামারশালা
1 min readআলফাডাঙ্গা(ফরিদপুর) থেকেঃ
১০ জুলাই মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা।আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে এখন ব্যস্তসময় পার করছেন ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার কামারশালার কারিগররা।
দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে তাদের ব্যস্ততা। হাপর দিয়ে কয়লার আগুনে লোহা পুড়িয়ে লাল করে, ছোট-বড় নানা আকারের হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তৈরি করা হচ্ছে, ছুরি, বটি, দা, চাপাতি ইত্যাদি। নতুন অস্ত্র বানানোর পাশাপাশি পুরনো অস্ত্র শান দেওয়ার কাজও করতে হচ্ছে সমানতালে। ক্লান্তিহীনভাবে চলছে কাজ, কথা বলার একদম ফুরসত নেই। এভাবে গরমে ঘেমে-নেয়ে একাকার কামার পট্টির কারিগররা।
কামার বাড়ির লোহা-লক্করের আওয়াজ, হাপরের ফোঁসফাঁস আর হাতুড়িপেটার টুং টাং শব্দ এই সময়ের সবেচেয়ে প্রিয় শব্দ, এ শব্দ আনন্দের, এ শব্দ উৎসবের। সরেজমিনে আলফাডাঙ্গা উপজেলার ঘুরে দেখা গেছে, কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে শেষ সময়ে এসে কারিগররা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন দা, বটি, ছুরি, চাপাতি তৈরিতে।
এ কারণে শেষ সময়ে হাসি ফুটেছে তাদের মুখে। সংশ্লিষ্ট বিক্রেতারা জানান, পশুর চামড়া ছাড়ানো ছুরি ১০০ থেকে ২০০, দা ২০০ থেকে ৩৫০ টাকা, বটি ২৫০ থেকে ৫০০, পশু জবাইয়ের ছুরি ৩০০ থেকে ১ হাজার টাকা, চাপাতি ৫০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে আলফাডাঙ্গা পৌর এলাকার বাসিন্দা হেমায়েত বাবু সহ উপজেলার একাধিক ক্রেতা বলেন,গত বছরের তুলনায় এবছর ঈদ উপলক্ষে দা, চাপাতি ও ছুরির দাম অনেক বেশি নেওয়া হচ্ছে।
আলফাডাঙ্গা পৌরসভার নওয়াপাড়া কামারবাড়ি এলাকার মহানন্দ মন্ডল ও চয়ন গোলদার নামে দুই কারিগর জানান, কুরবানির ঈদ উপলক্ষে কয়লার দাম ও শ্রমিকের দাম বেড়ে গেছে। আবার অন্যদিকে প্রায় সকল ধরনের দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ার সাথে সাথে লোহার দামও অনেক বেড়ে গেছে। তাই এবার দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে ।
প্রসঙ্গঃ আলফাডাঙ্গা উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়নের প্রতিটি বাজারেই আছে কামারদের দোকান। এসব দোকানে সারা বছরই লোহার তৈরি দা, বটি, ছুরি, চাপাতি, কোদাঁল, কুডাল, কাচিঁ পাওয়া যায় ।কিন্তু কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে পুরানো যন্ত্রপাতিতে বেড়েছে শাঁনের কাজ।