সালথায় ছাত্রলীগের নেতা শাহীনের কুকীর্তি নিয়ে ভিডিও ফাঁস
1 min readসালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার নব গঠিত ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলমের কুকীর্তি ফাঁস হয়েছে।
রবিবার (১৯ জুন) ভোরবেলা থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে তন্নি নামক এক বিধবা মহিলার কণ্ঠে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলমের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে একাধিক বার শারীরিক সর্ম্পকে জড়ানোর কথা বলতে শোনা যায়।
ভিডিওতে তন্নি বলেন, সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের ভাবুকদিয়া গ্রামের হায়দার মোল্যার ছেলে ও সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলম অামাকে বিয়ের প্রলোভনে গত ১৩ ফেব্রুয়ারী ফরিদপুরের একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে গেলে সেখানে আমরা স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে রাত্রি যাপন করি। এসময় শাহিন আমার সাথে শারীরিক সর্ম্পকে জড়ান। এছাড়া শাহিন আমাকে বিয়ে করার জন্য বাড়ি থেকে একবার নিয়ে গিয়ে বিয়ে না করে আবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এছাড়া শাহিন আমাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে ছয় থেকে সাত বার শারীরিক সর্ম্পক করেন। আমাকে চার পাচ বার বিয়ে করার ডেট দিয়ে বিয়ে না করলে কিছুদিন অাগে অামি শাহীনকে আবার বিয়ের জন্য বললে শাহীন আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। তার দুই দিন পরে শাহিন আমাকে একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে বলেন আমার ভালবাসার জন্য তোমাকে সেক্রিফাইজ করতে হবে। আমি তোমাকে বিয়ে করলে আমার বাবা মা আত্মহত্যা করবে। এছাড়া শাহীনের বড় ভাই আমাকে হুমকি প্রদান করেছে।
পরবর্তীতে ঐ মেয়ে সাংবাদিকদের মোবাইল ফোনে জানায়, আমি আপনাদের কাছে সাহায্যের জন্য আসছি। বিষয়টি নিয়ে আমাদের মিটমাট হয়েছে। এ নিয়ে আপনারা কিছু কইরেন না।
ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মী জানিয়েছেন, শাহিনের কাছ থেকে এমন নেক্কারজনক ঘটনা আমরা আশা করিনি। সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান নেতাকর্মীরা। তারা আরও জানান, পদ পাওয়ার আগে কখনও তাকে ছাত্রলীগের মিটিং মিছিলে দেখি নাই, হাটাৎ করেই পদ পাওয়ার পর আলোচনায় এসেছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া ছাত্রলীগে কোন খারাপ লোক থাকতে পারে না।
এ বিষয়ে সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলমের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজিদুল রশিদ রিয়ান জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। শোনার পরে এই ঘটনা তদন্তের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।