মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে কটূক্তি করায় নগরকান্দায় মুসুল্লীদের বিক্ষোভ
বেলায়েত হোসেন লিটনঃ
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সম্পর্কে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির জ্যেষ্ঠ দুই নেতার কটূক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার সর্বস্তরের তৌহিদী জনতা।
শুক্রবার পবিত্র জুম্মার নামাজ শেষে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিরা বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয়। পরে নগরকান্দা বাজারের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সেখানে তারা ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির দুই নেতার বিরুদ্ধে শ্লোগান দেন।
সমাবেশে উপস্থিত বক্তারা বলেন, আজকে পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে জঘন্য মিথ্যাচার করেছে বিজেপির দুই নেতা। এর প্রতিবাদে দ্বীনি মুসলমানরা আজ জেগে উঠেছে।
এসময় তারা আরো বলেন, পবিত্র কোরআনের ঘোষণা অনুযায়ী যদি রাসুল (সাঃ) কে নিয়ে কেউ কটূক্তি করে তাহলে তারা দুনিয়া এবং কেয়ামতে এর সাজা ভোগ করবেই।
এ ঘটনায় ভারতের দুই নেতার প্রকাশ্যে কঠোর বিচার করতে হবে বলে দাবি তোলেন বিক্ষোভকারীরা। এছাড়া ভারতীয় সকল পণ্য বর্জনের ঘোষণাও দেন তারা। এসময় উপস্থিত ছিলেন সরকারী মাহেন্দ্র নারায়ণ একাডেমির প্রধান শিক্ষক বেলায়েত হোসেন মিয়া, শাকপালদিয়া মাদ্রাসার মাহতামিম মাওলানা লিয়াকত আলী, মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মুফতি ইসমাতুল্লাহ কাসেমী, শহীদ আক্রামুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান, পৌর কাউন্সিলর জাকির হোসেন জাকারিয়া, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুজ্জামান অনু, পৌর বিএনপির সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ, মুফতি আসাদুজ্জামান, মাওলানা নুরুল আমিনসহ হাজার হাজার ধর্মপ্রান মুসলমান।
অপরদিকে উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়নের বিনোকদিয়া বাজারে বাদ আসর মশিউর রহমান এর নেতৃত্বে সর্বস্তরের মুসল্লীদের অংশ গ্রহনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন মাওলানা জুনাইদ আল ফরিদী, মাওলানা এরশাদ হোসেন, মাওলানা আবু বক্কার, মুফতি মুস্তাফিজুর রহমান, মাওলানা নুরুল আমিন, মাওলানা শওকত হোসেন, হাজী জামাল হোসেন, মাওলানা এমদাদ হোসেন, মাওলানা আবুল হোসেন, মাওলানা আব্দুল আজিজ, মাওলানা বেলায়েত হসেন প্রমুখ। সকল বক্তার নুপুর শর্মা ও নবীন কুমার জিন্দাল এর নিঃশর্ত ফাঁসি দাবী করেন এবং ভারতীয় সকল প্রকার পণ্য সরকারের মাধ্যমে বর্জনের দাবী জানান এবং কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। সব শেষে দোয়ার মাধ্যমে সমাবেশ শেষ করে।