সালথায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত আহাদ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন
সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের সালথায় করোনার ভ্যাকাসিনের জন্য লাইনে দাঁড়ানো ও গ্রাম্য দলপক্ষকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন আহাদ মাতুব্বর। তিনি উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামের সুলতান মাতুব্বরের ছেলে। তার ছোট দুটি মেয়ে ও একটি ছেলে রয়েছে। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন ও সালথা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেনের বাড়ি একই নওপাড়া গ্রামে। তারা গ্রাম্য দলে একে অপরের প্রতিপক্ষ। এলাকার প্রভাব বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছে। গত তিন মাস আগে করোনার ভ্যাকাসন নেওয়ার সময় লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে গিয়াস উদ্দিনের ভাই রবিউল ইসলামের সাথে বাকবিতন্ডতা ও হাতাহাতি হয় কামাল হোসেনের সমর্থক নওপাড়া গ্রামের আহাদ মাতুব্বরের। এরই সূত্র ধরে গত ১৩ এপ্রিল বুধবার স্থানীয় কাগদী বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে গিয়াস উদ্দিনের বাড়ির সামনে আসলে উৎপেতে থাকা গিয়াসের সমর্থক ইব্রাহিম টেনে হেচড়ে গিয়াসের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করে আহাদ মাতুব্বরকে।
গুরুত্বর আহত অবস্থায় আহাদ মাতুব্বরকে প্রথমে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে পরের দিন ১৪ এপ্রিল তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তাকে নিবির পর্যবেক্ষণের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) এ রাখা হয়েছে। সেখানে তিনি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
আহত আহাদের স্ত্রী নারগিস বেগম জানান, গত তিন মাস আগে করোনার ভ্যাকাসন নেওয়ার সময় লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে গিয়াস উদ্দিনের ভাই রবিউল ইসলামের সাথে বাগবিতন্ডতা ও হাতাহাতি হয় । এরই সূত্র ধরে তারা আমার স্বামীকে বিভিন্ন সময় হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। ১৩ এপ্রিল আমার স্বামী কাগদী বাজার থেকে পিঁয়াজ বিক্রি করে বাড়ি ফেরার পথে ইব্রাহিম গিয়াস উদ্দিন ও তার ভাই রবিউল, ইব্রাহিম, নওপাড়া গ্রামের জিয়া, হাবিবুর, ইলিয়াস, শহিদুল, রিপনসহ আরো ১৫/২০ জন মিলে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করে। এসময় আহাদকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেন নওপাড়া গ্রামের হিমায়েত, ইউসুফ ও পলাশ। এদেরকেও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়। এদেরকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন আমরা গরীব মানুষ। আহাদের চিকিৎসায় প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। এতে আমার পরিবারের উপর দিয়ে চরম অশান্তি চলছে। যেসকল সন্ত্রাসীরা আমার স্বামীকে মেরে ফেলার জন্য হামলা করেছিল আমি তাদের কঠোর শাস্থি চাই।