January 19, 2025

স্বদেশ Tribune

গণ মানুষের খবর

পেঁয়াজের রাজধানীতে পেঁয়াজ চাষীদের মাথায় হাত

1 min read

সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ

পাট-পেঁয়াজের রাজধানী খ্যাত ফরিদপুরের সালথা উপজেলা। এখানে তুলনামূলক সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। চলতি পেঁয়াজ মৌসুম প্রায় শেষের দিকে, উঠতে শুরু করেছে নতুন হালি পেঁয়াজ প্রতিটি কৃষকের বাড়িতেই পেঁয়াজ নিয়ে ব্যস্ততা বেড়েছে। তবে গত মৌসুমের চেয়ে ফলন কম হয়েছে, দামও তুলনামূলক কম তাই পেঁয়াজের ফলন ও দাম নিয়ে সঙ্কায় উপজেলার পেঁয়াজ চাষীরা। আবার দাম ও ফলন নিয়ে অনেক চাষীর মাথায় হাত।

উপজেলা কৃষি অফিস ও কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা হলে তারা জানায়, চলতি পেঁয়াজ মৌসুমে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে প্রায় ১১ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে ঘুর্ণিঝড় জাওয়াদ এর প্রভাবে অতি বৃষ্টির কারনে নিচু জমিতে পানি জমে যাওয়ার কারনে হালি পেয়াজ আবাদে কিছুটা বিলম্ব হয় এবং বিলম্ব হওয়ার কারনে উদপাদন তুলনামূলক হয়েছে।

গত কয়েকদিনের পেয়াজের দাম রকমভেদে ৪ শত টাকা থেকে ৮শত টাকা পর্যন্ত। যেখানে একমন পেঁঁয়াজ উৎপাদনে খরচ ৮ শত থেকে ১২ শত টাকা। একমন পেঁয়াজে বর্তমান মূল্যে এককেজি ইলিশ পাওয়া কষ্টকর। মৌসুমের শুরুতে পেঁয়াজ আমদানী অব্যাহত থাকলে দাম আরও কমতে পারে সেক্ষেত্রে পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ হারাবে পেয়াজ চাষীরা।

মাঠ সালথা এলাকার পেঁয়াজ চাষী খলিল মোল্যা বলেন, গতবছর আমাদের প্রতি শতকে ফলন হয়েছে প্রায় দেড় থেতে তিন মন। এবছর বৃষ্টির কারনে পেঁয়াজের চারা দেড়িতে রোপন করায় ফলন অনেক কম হয়েছে। আবার কিছু জমিতে একবারেরই নামীতে রোপন করায় ফলন আরও কম হয়েছে। প্রতি শতকে আমাদের যা খরচ হয়েছে তার চেয়ে উৎপাদন কম হয়েছে সেই সাথে শুরুতেই পেঁয়াজের দাম কম হওয়ায় আমাদের পথে বসার মত অবস্থা।

পেঁয়াজ চাষী জুয়েল মোল্যা বলেন, অনেকেই সুদ ও লোন করে পেয়াজ চাষ করেছেন এবং জমি বন্ধক ও ধারও করেছেন কেউ কেউ তবে পেঁয়াজের ফলন কম ও বাজারে দাম কম হওয়ায় পেঁয়াজ চাষীদের অবস্থা খারাপ। তাছাড়া এবছর চৈতালী ফসলও ফলন কম হয়েছে সব কিছু মিলে কৃষকের আর চাষাবাদ করার মত অবস্থা নেই।

সালথা সদর বাজারের একজন পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মোঃ এরশাদ জানান, গত এক সপ্তাহে পেঁয়াজ ক্রয় করে প্রায় ১লক্ষ টাকা লোকশান হয়েছে। আমরা যে দামে ক্রয় করি মোকামে সেই দামে বিক্রি করতে পারি না ফলে লোকশান হয়। এভাবে চলতে থাকলে ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। মৌসুমে পেঁয়াজের ব্যাপক সরবরাহ রয়েছে এই সময়ে পেয়াজ আমদানী না করলে কৃষক ও আমরা দুজনেই লাভবান হব।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জীবাংশু দাস বলেন, ঘুর্ণিঝড় জাওয়াদ এর প্রভাবে কিছু জমিতে নাবীতে অধিক বয়সের চারা রোপন করা হয়েছে, ফলে উৎপাদনের উপর সামান্য বিরূপ প্রভাব পড়েছে। তবে পেঁয়াজের ন্যায্য মূল্য পেলে কৃষকেরা লাভবান হবে এবং পেঁয়াজ চাষে আগ্রহী হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright © All rights reserved. | Newsphere by AF themes.